আগে আসুন, দেখে নিই, কোন কোন কর্মের কপিরাইট বিদ্যমান ঃ ক) সাহিত্য, নাট্য, মিউজিক ও শিল্পসুলভ আদি কর্ম খ)মুভি /ছবি/ ডকুমেন্টারি গ) শব্দ রেকর্ডিং। সেই সাথে কম্পিউটারের প্রোগ্রামের স্বত্ব ও হস্তান্তর নিয়েও আছে আইন ও বিধি-নিষেধ। আপনার এর কোনটাই না থাকলেও আপনি আসলে এর সাথে জড়িত ; একটু অন্যভাবে। বাদশাহ’র বড় লোকের বেটি লো গানটার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। কত জল ঘোলা করে বাদশাহ ঠিকই ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। এমন লঙ্ঘনের নজির অনেক। হয়তো বাদশাহকে আইনী মারপ্যাচে পড়তে হয় নি। তবে, কপিরাইট স্বত্ব লঙ্ঘন করে আপনি ঠিকই আইনী মারপ্যাচে পড়ে যেতে পারেন। একটা কর্মের প্রণেতা, প্রকাশ ইত্যাদির বিচারে কপিরাইটের মেয়াদ থাকে ৬০ বছর। সাহিত্যের ক্ষেত্রে প্রণেতার মৃত্যুর ষাট বছর পর্যন্ত এর মেয়াদ থাকে। এজন্য হয়তো বা কপিরাইট লঙ্ঘিত হয় না। তবে ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও অন্য কারো কর্ম ব্যবহার করা নৈতিকতার দোষে দুষ্ট। বাজারে রিমিক্স /রিমেক সংস্কৃতির পিছনে এই ৬০ বছর থিউরীই হয়তো কাজ করে। আসলে, কপিরাইট জিনিসটার পরিধি দিন দিন বড় হচ্ছে! অনলাইন জগতও এর বাইরে নয়! লিখিত বা ভিডিও কন্টেন্টও আজকাল কপিরাইট প্রোটেকশন করা থাকে। মানুষ নিজের সৃজনশীলতা নিয়ে আজকাল সচেতন। ভবিষ্যতে কপিরাইট পরিধি কেবলই বাড়বে। বাংলাদেশে কপিরাইট আইনটা অন্যান্য অনেক ঔপনিবেশিক আইনের বিপরীতে নতুনই বলা চলে। ২০০০ সালে এর যাত্রা। তবে, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে এসে এর আধুনিকায়নও জরুরি বটে। সৃজনশীল কর্ম, অনলাইন কন্টেন্ট প্রোটেকশন এবং আরো বিবিধ প্লাটফর্মে কপিরাইট এর প্রচলন বাড়ছে এবং আরো বাড়াটা সময়ের ব্যাপার। তাই মনে রাখা ভালো, “আমি জানতাম না” – এটা কোন অজুহাত নয় ; Ignorance of law is no excuse. আইন জানুন ; জানতে আমাদের সহায়তা নিন। ঝামেলা পরিহার করুন।