প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পনি গঠনের জন্য ১। প্রথমে ২ থেকে ৫০ জনের মধ্যে যেকোন সংখ্যক প্রমোটার (উদ্যোক্তা) মিলিত হয়ে কোম্পানি গঠনের স্টেপ নিতে হয়। ২. কোম্পানির জন্য একটি নাম সিলেক্ট করতে হবে ।আপনাদের পছন্দের নামের শেষে অবশ্যই লিমিটেড কথাটি থাকতে হবে । ৩. এবার আপনাদের পছন্দের নামটি জয়েন্ট-স্টকে এভেইলেভেল কিনা দেখতে হবে ; এটা অনেকটা ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম চুজ করার মত! নীচের লিংকে ক্লিক করে দেখা যাবে। http://app.roc.gov.bd:7781/psp/rjschome ৪. পছন্দের নামটি এভেইলেভেল থাকলে আপনাদের নামে রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন করতে হবে ; এই স্টেপটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজে দক্ষ আইনজীবীর সহায়তা অপরিহার্য। ৫. জয়েনস্টক আপনাদের আবেদন প্রাপ্তির পরই বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে দেখবেন। ৬. নেম ক্লিয়ারেন্স পাবার পর একজন দক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে কোম্পানির সংবিধান হিসাবে পরিচিত কোম্পানির মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত করতে হবে। ৭. মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত করার পর কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশনের আরো অনেকগুলো ফরম আছে উক্ত ফরম গুলো সঠিকভাবে পুরন করুন। ৮. সবকিছু সম্পাদন করার পর এবার কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন চূড়ান্তভাবে সম্পাদন করার জন্য জয়েন-স্টকের ওয়েবসাইটে মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য কাগজপত্রের স্ক্যান কপি দাখিল করতে হবে। ৯. স্ক্যান কপি সাবমিট করার পর জয়েন্ট স্টকের ওয়েবসাইট থেকে আপনার কোম্পানির অথরাইজ ক্যাপিটালের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত ফি প্রদানের রসিদ প্রদর্শন করবে । ১০. এবার আপনাদের উল্লেখিত ফি ব্যংকে প্রদান করতে হবে । ১১. ফি জমা দেওয়ার পর মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন, ব্যংকের ফি জমা রসিদ এবং অন্যান্য দরকারী কাগজপত্র জয়েন্ট-স্টকের অফিসে গিয়ে জমা প্রদান করতে হবে।. জয়েন্ট-স্টক থেকে আপনার প্রদানকৃত কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হলে এবং সবকিছু ঠিক থাকা সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের কোম্পানি লাইসেন্স ( Certificate of Incorporation) বা কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র প্রদান করবেন ১২। কোম্পানি লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাদের প্রথম কাজ হল উক্ত কোম্পানির নামে একটি ব্যংক একাউন্ট খোলা। অনুমোদিত মুলধন ও পরিশোধিত মূলধন ঃ অনুমতি মূলধন সচরাচর শেয়ার মূলধনের ঐ অংশ যেটা ইস্যু করা যায় শেয়ারহোল্ডার বরাবর। এটা কোম্পানি গঠনতন্ত্রে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়।পরিশোধিত মুলধন এক টাকাও হতে পারে ; তবে কার্যারম্ভের পর এটা বাড়ানো যায়। রেজিষ্ট্রেশন সমাপ্তির পর যথানিয়মে ট্রেডলাইসেন্স, ক্ষেত্র বিশেষে এক্সপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ইম্পোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ইন্ডেন্টিং সার্টিফিকেট ( ব্যবসার ধরণ মতে) নিতে হবে। ই-টিন, ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন ইত্যাদি কার্যাদির ব্যাপারও রয়েছে।